বিনোদন ডেস্ক ॥ আলতাফ হোসেন, দাদী আদর করে ডাকতো আলতু বলে। শৈশবে সেই নামেই পরিচিত হয় আলতাফ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যক্তিত্ব এবং আচরণের কারণে আলতুকে ‘ফালতু’ বলে কে প্রথম সম্বোধন করেছিলো, সে ইতিহাস জানা না গেলেও বর্তমানে ঐ ফালতু নামের নিচেই চাপা পরে গেছে আলতাফের আসল নামটি। শুরু থেকেই নামের এমন বিকৃতির প্রতিবাদ করে আসছে আলতু। সে তার নামের আদ্যাক্ষর ‘আ’ কে সামনে এনে বোঝানোর চেষ্টা করে ‘আ’ তে আলতু হয় ফালতু নয়। তবুও তার পরিত্রাণ নেই। সচেতনভাবেই মানুষ তাকে ফালতু বলে ডেকে আনন্দ পায়। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই সবার সঙ্গে আলতুর অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। তার বৈশিষ্টই হচ্ছে গ্রামের যে কোনো ঘটনায় সে সবার আগে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবে এবং নিজ দায়িত্বে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। সেটা হোক পারিবারিক কলহ, দাম্পত্য কলহ, দুর্ঘটনা, মেডিকেল অথবা আইনি সর্ব প্রকার সাহায্য প্রদান করতে সদা প্রস্তুত আলতু। বলা চলে এটাই এখন তার পেশা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ তাকে তাচ্ছিল্য করে ফালতু বলে হেলা করলেও তাকে এড়াতে পারে না। এক ধরনের অদ্ভুত সম্বোহনী শক্তি দিয়ে পরিস্থিতি নিজের অনুকুলে আনার গুণ রয়েছে তার মধ্যে। যদিও প্রায়শই শেষ রক্ষা হয় না। লেখাপড়ার দৌড় তেমন নেই আলতাফের। তবে সব সময় তার কাছে একটা ইংরেজি পত্রিকা থাকে। সেটি খুলে নিয়ে বসে থাকে মনযোগ দিয়ে পড়ার ভান করে। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিদিনই তার ঝামেলা হয়। নিজেকে একজন পরামর্শক দাবি করে সে। প্রচার করে তার নীতি হচ্ছে ‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে…।’ এলাকায় ফালতু নামে পরিচিত আলতাফ হোসেন হঠাৎ একদিন একটা বড় ফালতু ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। কি সেই ঘটনা, জানতে হলে দেখতে হবে ঈদের সাত পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন’। বৃন্দাবন দাসের রচনায় এটি নির্মাণ করেছেন দীপু হাজরা। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শাহনাজ খুশি, বৃন্দাবন দাস, নাদিয়া আহমেদ, আ খ ম হাসান, নাদিয়া মিম, প্রাণ রায়, শিরিন আলম, মাসুদ রানা মিঠুসহ অনেকে। ‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন’ প্রচার হবে ঈদের সাত দিন রাত ৯টায় এনটিভিতে।
Leave a Reply